মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গুলশান জোনের পরিদর্শক ওয়াবদুল কবির বলেছেন, ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও বার পরিচালনার অভিযোগ ছিল। আমরা সে কারণে পরিদর্শন করেছি। তল্লাশি চালিয়ে আমরা হোটেলটিতে অ্যালকোহল জাতীয় কিছু পাইনি। তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সে কারণে আমরা হোটেলটির উপর নজরদারি রাখবো।
দুই তরুনী ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেল পরিদর্শনে শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গুলশান জোনের পরিদর্শক ওয়াবদুল কবিরের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল হোটেলটি পরিদর্শনে যায়।
হোটেলে কোনো মাদকদ্রব্য আছে কি না সে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।
হোটেলটি পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওবায়দুল কবির বলেন, বনানী ও গুলশান এলাকার অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বার পরিচালনা ও মদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় এই হোটেলের বিরুদ্ধেও মদ বিক্রি ও বার পরিচালনার অভিযোগ আসে। সে কারণে আজ আমরা পরিদর্শনে এসেছি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের টিম আসার খবর পেয়ে কি তারা অ্যালকোহল সরিয়ে নিয়েছে- জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমরা দেখার জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু কিছু মেলেনি। তবে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে এই হোটেলটির উপর নজরদারি রাখবো। শুধু এই হোটেল নয় যে কোনো হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আব্দুল হালিম) ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।