ইলিয়াস আলীর মতো একজন সাবেক এমপি ও রাজনৈতিক নেতার গুম হওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। এ কথা বলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গে বিএনপি’র একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দেখা করার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের লোকজনই ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে তা আমরা জেনেছি, আর সে কথাই মন্ত্রীকে বলেছি। আশা করি, সরকার তাকে খুঁজে বের করে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বিএনপি’র প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তার আশ্বাসে আমরা আশাবাদী।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, আসম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বিএনপির এমপি শাম্মি আখতার।
আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুশতাক আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় সরকার বিব্রত। এরই মধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে সরকার খুবই আন্তরিক।
সরকারের লোকেরাই ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে টুকু বলেন, “বিষয়টি তদন্ত না করে বলা যাবে না। তবে আমরা মনে করি, বিরোধী দলের কাছে এমন কোনো তথ্য থাকলে তাদের উচিত তা সরকারকে সরবরাহ করে সহযোগিতা করা।
সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শুরু হয়ে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠকটি চলে।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি স্মারকলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে সুস্থ্ অবস্থায় ইলিয়াস আলীকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়াও বলা হয়, দেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের এমন একজন নেতার নিখোঁজ হয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন নেই।