আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান গ্রেফতার এড়াতে সীমান্ত পেরিয়ে ‘নেপাল বা বাংলাদেশে’ পালিয়ে আসতে পারেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বিচারপতি কারনানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। এর মধ্যেই বুধবার তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আইনজীবীর ডব্লিউ পিটার রমেশ কুমার জানিয়েছেন, গ্রেফতার এড়াতে দেশ ছেড়েছেন কারনান। প্রেসিডেন্ট তাকে পুণরায় নিয়োগ দিলেই তিনি দেশে ফিরবেন বলেও উল্লেখ করেছেন রমেশ কুমার।
এ বছরের শুরুতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ৬১ বছর বয়সী বিচারপতি কারনান ভারতের ২০ জন দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়িয়ে পড়েন কারনান।
সোমবার প্রধান বিচারপতি জে এস খেহারসহ আটজনের বিরুদ্ধে ওই কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন কারনান। তার মাত্র একদিন পরই অর্থাৎ মঙ্গলবার আদালত অবমাননার দায়ে বিচারপতি কারনানকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট তাকেই ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। তাকে গ্রেফতার করতে কলকাতা পুলিশ প্রধানকেও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
ওই নির্দেশের পরেই চেন্নাইয়ের চিপৌক গভর্নমেন্ট গেস্ট হাউস থেকে বুধবার সকালে চেন্নাই থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তোর জেলার মন্দির কালাহস্তি পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান বিচারপতি কারনান।
কারনান সীমান্ত পেরিয়ে ‘নেপাল বা বাংলাদেশে’ প্রবেশ করতে পারেন। এমনটাই দাবী করছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রমেশ কুমার। তবে কোন পথে কীভাবে কারনান পালালেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সড়ক পথে চেন্নাই থেকে ভারতের যে কোনো সীমান্তে পৌঁছাতে অন্তত একদিন সময় লাগে। বর্তমানে কারনান কোথায় অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।