রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরে পুলিশের গড়িমসি নিয়ে মঙ্গলবার খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। পুলিশ সম্পর্কে এমন বক্তব্য ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক মন্তব্য করেছেন, ‘ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার এক মাস পরও পুলিশ কিছু জানল না, তারা কোনো কিছুই করতে পারল না, তাহলে পুলিশের প্রয়োজনটা কী আমাদের?’ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে মুহূর্তে পুলিশ আসামি গ্রেফতারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে, ঠিক সে মুহূর্তে এ ধরনের মন্তব্য তদন্তকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল। সাম্প্রতি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনসহ ধর্ষণ-খুন, রাহাজানি প্রভৃতি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাফল্য যখন সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে তখন আলোচ্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এ ধরনের ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’মন্তব্য পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ডিএমপি সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে বাস্তব ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
কাজী রিয়াজুল হকের ওই বক্তব্যের প্রতিউত্তরে কমিশনার বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদী গত ৪ মে বনানী থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের বিষয়ে অফিসারকে অবহিত করেন। ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর একটি অপরাধের অভিযোগ দীর্ঘ ৩৭দিন পর থানাকে অবহিত করায় ঘটনার সত্যতা ও বাস্তবতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়। আইনের মূলনীতি হচ্ছে প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার পাশাপাশি নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে শাস্তি না পায় বা হয়রানির শিকার না হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করা। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের আলোকেই মামলা রুজুর বিলম্বের কারণ এবং ঘটনাটির বাস্তবতা ও সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বনানী থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ৬ মে নিয়মিত মামলা রুজু করে