বাগদাদে সিরিজ হামলা, নিহত ২১

বাগদাদে সিরিজ হামলা, নিহত ২১

ধারাবাহিক পাঁচটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। এছাড়াও কিরকুক এবং সামারাসহ আরো কয়েকটি শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরেণে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে। বৃহস্পতিবারের এ হামলায় কমপক্ষে সাত জন নিহত হয়েছে। পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে নিহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, কমপক্ষে তিনটি দূরনিয়ন্ত্রিত বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমের আল আমেল, তাজি এবং উত্তর দিকের এলাকায়। এতে নিহত হয়েছে দুই জন এবং আহত হয়েছে ১১ জন।

বাগদাদের কেন্দ্রে এবং উত্তরাঞ্চলে আরো তিনটি পৃথক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বাগদাদে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা এবং গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মজিদ হামাদ আমিন। এ হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২০ জন।

অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তেল সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক শহরে দু’টি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২৪ জন।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, আল ঘাজালিয়া জেলায় একটি বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বোমাটি পেতে রাখতে যাওয়া দু’জন বন্দুকধারী নিহত হয়েছে।

সামারিয়া শহরে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তিন জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চের পর বৃহস্পতিবারের হামলা সবচে ভয়াবহ। ২০ মার্চের হামলায় বন্দুক ও বোমার আঘাতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত এবং সারা দেশে ২৫৫ জন আহত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৬-০৭ সালে ইরাকে গোষ্ঠীগত সংঘাত বিশেষ করে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করার পর বর্তমানে সহিংসতা কিছুটা কমেছে। তবে প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো হামলার কারণে ইরাকের দুর্বল শিয়া, সুন্নি ও কুর্দি জোট সরকারের মধ্যে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।

ইরাকে হামলার পেছনে বেশিরভাগ সময়ই সুন্নি আরব জঙ্গিদের দায়ী করা হয়। এরা গত ডিসেম্বরে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি হয়নি।

আন্তর্জাতিক