সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল পারভেজ আশফাক কায়ানি। আর পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য এর প্রয়োজনও নেই বলে মনে করেন তিনি। এ ইস্যুটি পাকিস্তান এবং ভারত দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করা দরকার বলে মত দিয়েছেন সেনা প্রধান।
৭ এপ্রিল সিয়াচেনের গায়ারিতে তুষারচাপা পড়ে ১৩৮ সেনার বেশিরভাগই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পর্যালোচনা শেষে গত বুধবার সাংবাদিক উত্তরাঞ্চলী শহর কারদুতে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেছেন সেনা প্রধান কায়ানি। গায়ারি সফরের সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।
গত ৭ এপ্রিল সিয়াচেনে তুষারচাপা পড়ে উত্তরাঞ্চলীয় পদাতিকের ১২৭ সেনা এবং ১১ বেসামরিক। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর এমন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
কিন্তু কায়ানি বলছেন, ভারতীয় সেনাদের তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় সিয়াচেনে সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘আর বিশ্ব জানে আমরা কেন সিয়াচেনে অবস্থান করছি।’
প্রসঙ্গত, বিরোধপূর্ণ সিয়াচেন অঞ্চলে ১৯৮৪ সাল থেকে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনার মুখোমুখি অবস্থানে এক প্রকার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ২০০৩ সালের শেষ নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশ অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হওয়ায় ওই সময় থেকে অন্তত গুলির আওয়াজ বন্ধ হয়েছে। এখন সম্মুখ যুদ্ধের চেয়ে বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই বহু সেনার প্রাণহানি ঘটছে।