গোপন বিয়ের পর জামায়াত নেতার অস্বীকার

গোপন বিয়ের পর জামায়াত নেতার অস্বীকার

গোপনে বিয়ের পর তা অস্বীকারের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী জামায়াতের সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আতাউর রহমানের (৬৪) বিরুদ্ধে। স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২ মে রশিদা বেগম নামের এক নারী গিয়ে ওঠেন আতাউর রহমানের তেরখাদিয়ার বাসায়। ওই দিন কৌশলে তাকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন ওই নারী।

পরে অভিযোগ দেন নগর জামায়াতের নেতাদের কাছে। রশিদা বেগম জামায়াত নিয়ন্ত্রিত রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আয়া হিসেবে কর্মরত। সেখানকার কর্তাদেরও অভিযোগ দিয়েছেন রশিদা। তবে এনিয়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও নগর জামায়াতের নেতাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রশিদা বেগমের ভাষ্য, তিনি স্ত্রীর অধিকার পাননি, এটা সত্যি। কিন্তু অধিকার আদায়ে কোথাও কোনো অভিযোগ দেননি। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন জামায়াতের নেতা তার কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তিনি যা ঘটেছে তা-ই জানিয়েছেন। তার ধারণা তারাই বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তারা বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল। কিন্তু পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে তারাও। এরপর থেকে তারা আর কোনো কথা বলছে না। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত। বিষয়টি নিষ্পত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা দেখছেন না বলেও জানান ওই নারী।

রশিদা বেগমের দাবি, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল আতাউর রহমান তাকে বিয়ে করেন। রাজপাড়া থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী আব্দুর সাত্তার দুই লাখ টাকা দেনমোহরে সেই বিয়ে রেজিস্ট্র করেন (কাবিন নামা নম্বর ০৬/২০১৬)। কিন্তু বিয়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়নি তাকে। স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২ মে আতাউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে বের করে দেয়া হয়েছে।

BJI

জানা গেছে, বিভিন্ন নাশকতার মামলায় আসামি হয়ে গ্রেফতার এড়াতে গত ২০০৯ সাল থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আতাউর রহমান। ওই সময় তিনি নগরীর উপকন্ঠে বসুয়া এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা রশিদা বেগমের বাড়িতে নিয়মিত রাত যাপন করতেন। সেখান থেকেই দুই সন্তানের জননী রশিদা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ওই জামায়াত নেতা। পরে নিয়ম মেনেই বিয়ে করেন তাকে।

আতাউর রহমান ও রাশিদা বেগমের বিয়ে পড়িয়েছেন সেখানকার কাজির সহকারী আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে তাদের। নিয়ম মেনেই বিয়ে পড়িয়েছেন তিনি। এরপর থেকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেই তার কাছে।

আতাউর রহমানের সঙ্গে রশিদা বেগমের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবেদ আলী।

তিনি বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালম আজাদের সঙ্গে তিনিও বসুয়ায় রশিদার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময় রশিদা বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তিনি চেয়ারম্যানকে বিয়ের প্রমাণপত্র দেখান।

তবে এনিয়ে কয়েক দফা চেষ্টা করেও জামায়াত নেতা আতাউর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা সংবাদ