রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে এনে দুই তরুণীকে ধর্ষষের ঘটনায় অভিযুক্তদের বাসা ও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
সকালে আসামি সাফাত আহমেদের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তাকে এ সময় বাসায় পাওয়া যায়নি।
সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার জানান, ১০-১২ পুলিশ আজ সকালে তাদের বাসায় আসেন। কিন্তু সাফাত গত রাতেই বাড়ি থেকে বেড়িয়েছে।
তিনি জানান, সাফাত এখানে নেই। কোথায় গেছে, আমরা জানি না। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
সকালে সিলেটে সাফাতের নানার বাসাতেও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়েছে বলেও জানান দিলদার আহমেদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক আবদুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রত্যেক আসামির বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। সাফাতের বাসায় ১০-১২ জন পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাফাতকে তার বাসায় পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাবা গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করছেন যে, সাফাত বাড়িতে অবস্থান করছে।
প্রয়োজনে আসামিদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসাতেও অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়েই বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় বনানী থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হচ্ছেন- সাদনান সাকিফ, তার বন্ধু সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী (নাম পাওয়া যায়নি)।
মামলা দায়েরের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ওই দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্ষণের আলমত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি প্রায় দেড় মাস আগের, সে জন্য আদৌও কোনো আলামত পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।