ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

একইসঙ্গে বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান খন্দকার দিদার-উস সালাম।

বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চে এ বিষয়ে দুপুরের পর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।

হাসান এমএস আজিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘২৯ ও ৩০ তারিখে পাকিস্তানে একদিনের ম্যাচ ও টি২০ ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। ২৯ এপ্রিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ। পরের দিন হবে টি২০। অথচ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তা পরিকল্পনা এখনো পেশ করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন, পাকিস্তানের ডন পত্রিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলেছে, পাকিস্তান এখন কোনো দলের জন্যই নিরাপদ নয়। এতকিছুর পরও বিসিবি বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে।’

হাসান আজিম আরো বলেন, ‘আমাদের সাকিব-তামিমের কিছু হয়ে গেলে তাদের তো আর ফিরে পাবো না।’

রিটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়েবা ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো দুর্ধর্ষ জঙ্গি গোষ্ঠির হামলা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনী। উৎসব-পার্বণ, মসজিদ, এমনকি দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আঞ্চলিক সদর দফতরও বাদ পড়েনি জঙ্গি হামলা থেকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রোমহর্ষক এমন খবর প্রকাশের পরও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল।

তিন বছর আগে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম চত্বরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর যে বর্বোরচিত সন্ত্রাসী হামালা হয়। তাতে শুধু জীবনটাই নিয়ে ফিরে এসেছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ২০০৯ সালের ৩ মার্চের ওই হামলায় নিহত হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সব পুলিশ সদস্য। আহত হন ক্রিকেটারদের অনেকে। ওই ঘটনার পর কোনো বিদেশি দল আর পাকিস্তান সফর করছে না।

১৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয় একটি ওয়ানডে এবং একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে উভয় দল।

আইসিসি জানায়, সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৯ এপ্রিল ওয়ানডে এবং পরের দিন ৩০ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে।

খেলাধূলা