বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র দলগুলো লোকশানের ঘানি টানতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে। শখের বসে ক্রিকেট দল বানিয়ে প্রতিটি ফ্রেঞ্চাইজিকেই বড় অঙ্কের টাকা লোকশান গুণতে হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের নিজস্ব ব্যবসায়।
চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী বিপিএলে তাদের খরচের একটা আনুমানিক হিসেব করে দেখেছেন ১২-১৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এই অর্থের যোগান দিতে গিয়ে এখনো টালমাটাল অবস্থা তাদের। ব্যবসা থেকে টাকা তুলে তা দিয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে খেলোয়াড়দের সম্মানী।
তাই বলে বিজ্ঞাপন থেকে তাদের যে একেবারে আয় হয়নি তা নয়। সামির কাদের চৌধুরী জানালেন, মোট খরচের ২০ ভাগ এসেছে বিভিন্ন স্পন্সর থেকে। বাংলানিউজকে বলছিলেন, ‘এবার তো খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে হয়েছে সেজন্য বিজ্ঞাপন যোগার করতে পারিনি। তবে আগামী বছরের জন্য আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করবো। যাতে করে খরচ মেটাতে গিয়ে নিজের গাঁটের টাকায় হাত দিতে না হয়।’
খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে ফ্রেঞ্চাইজি দলগুলো তাদের সম্মানী পরিশোধ করছে না। বিপিএল শেষ হওয়ার দেড় মাস পরেও টাকা না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের অভিযোগ অযৌক্তিক কিছু নয়। তবে সামির কাদের একটা দারুণ যুক্তি দিয়েছেন, ‘আমাকে যেহেতু ব্যবসা থেকে টাকা আয় করে খেলোয়াড়দের সম্মানী দিতে হচ্ছে সেজন্য বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সব টাকা দিতে পারছি না। বিশেষ করে দেশের খেলোয়াড়দের চুক্তির পুরো টাকা দিতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে বিদেশিদের অনেকে বেশিরভাগ টাকা পেয়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংককে হিসেব দিতে হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ব্যাংক সনদ পাওয়ার পর আমরা বাকি টাকা দিয়ে দেবো।’
বিপিএলের প্রথম আসর হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতেও সময় লেগেছে বলে জানান চিটাগং কিংসের স্বত্ত্বাধিকারী সামির কাদের। কোম্পানি গঠন এবং নিবন্ধন না করতে বিলম্ব হওয়ায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং গেম অন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের সাথে এখনও চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
আসলে ফ্রেঞ্চাইজি দলগুলোকে একটা বড় অঙ্কের টাকাই বিনিয়োগ করতে হয়েছে দল কিনতে। পরের মৌসুমে ওই খাতে আর টাকা খরচ করতে হবে না তাদেরকে। উল্টো ইচ্ছে করলে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগের চেয়ে অনেক বেশিগুণ অর্থ আয় করতে পারে। চিটাগং কিংস তাদের শেয়ার এখনো বিক্রি করেনি।