বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সূতিকাগার ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)’ -এর শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই তিনি নিয়োগপত্র পাচ্ছেন।
এফডিসির নতুন এমডি হিসেবে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব প্রদান করা হতে পারে, এ বিষয়ে চলতি বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম প্রথম আগাম সংবাদ পরিবেশন করেছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই নিয়োগ পিছিয়ে গেলেও অবশেষে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলানিউজ এ বিষয়ে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এফডিসির এমডি হিসেবে নিয়োগের ব্যাপারটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাকেও জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাগজপত্র হাতে পাই নি। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছে। আগামী রবিবার আমি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারি। এটি একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমাকে এই বিশাল দায়িত্ব দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সংস্কৃতি অঙ্গনে আমার দীর্ঘদিনের পথ চলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করতে চাই।
গত বছর ১১ অক্টোবর বিএফডিসির এমডির দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ। একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ম হামিদ চলচ্চিত্রাঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগেই দায়িত্ব প্রাপ্তির মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় গত ১১ মার্চ তাকে এই পদ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। এই নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে খানিকটা অসন্তোষও তৈরি হয়েছিল। ম. হামিদকে বদলি করার পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশীদ ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এফডিসিতে বুধবার রাতেই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দায়িত্ব প্রাপ্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে। সংস্কৃতি ও নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। সেই হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনেরই একজন। এফডিসির এমডি হিসেবে তার নিয়োগ চুড়ান্ত হওয়ায় চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকই স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের উন্নয়নে নিবেদিত হবেন বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই মনে করছেন।