বারাক ওবামা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এবার গুগল+ এর সদস্য হলেন। অন্য যে কোনো প্রেসিডেন্টের তুলনায় বারাক ওবামা অনলাইন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ তিনি প্রযুক্তিবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ গুগল+ নিরব বিপ্লবই করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ফেসবুকের তুলনা গুগল+ এর গ্রাহক প্রবৃদ্ধি হার অনেক বেশি। সাফল্যও ঈর্ষা করার মতো।
আর ফেসুবক এবং গুগল+ এ দু সামাজিক গণমাধ্যমের সদস্য হয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনে সক্রিয় প্রচারণায় নতুন উদ্যোমে মাঠে নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন বারাক ওবামা। সঙ্গী হিসেবে তাই গুগল+ এ সদস্য হলেন। ‘ওবামা ফর আমেরিকা’ স্লোগানে ২০১২ সালের নির্বাচনের উদ্দেশ্যেই ওবামা গুগল+ এ নিবন্ধন করেছেন।
গুগল+ এর প্রথম বার্তাতেই ওবামা রাজনৈতিক প্রচারণায় তরুণ প্রজন্মের মতামত চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দিন বদলে এবং নির্বাচনে আবারও ঘুড়ে দাঁড়াতে ওবামা বরাবরই তরুণ প্রজন্মের চিন্তাচেতনার ওপর নির্ভরশীল।
গত মাসে ওবামা মাইক্রেব্লগিং সাইট টামব্লারে নিবন্ধিত হয়েছেন। মার্কিন প্রশাসন কেন্দ্র হোয়াইট হাউজের কার্যপ্রচারণায় তিনি এ ব্লগ সাইট ব্যবহার করবেন বলে জানানো হয়।
২০০৮ সালের মার্কিন নির্বাচন ওবামা ব্যাপকভাবে অনলাইন প্রচারণা করেন। এতে সাফল্যও এসেছে প্রত্যাশাতীত। এতে তরুণ প্রজন্মের ভোটও পেয়েছেন ঝুড়ি ভরে। এ কারণে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মার্কিন প্রশাসন পরিচালনায় ওবামা হোয়াইট হাউজের কার্যক্রমকে একে একে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ফ্লিকার, ফোরস্কয়ার এবং অন্য সব অনলাইন গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন।
প্রতি মুহূর্তে এবং সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তকে যাচাই বাছাই করে নিতে ওবামা সব সময়ই এসব গণমতামত মাধ্যমকে আমলে নিয়েছেন। সরকারকে গণমুখী করতে এ ধরনের স্বচ্ছ এবং সমালোচনামাধ্যমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।