প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১টি নতুন গুচ্ছগ্রামের ঘর ও জমি পাওয়াদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যে আমানত আপনাদের হাতে তুলে দিলাম সে আমানতের যেন খেয়ানত না হয়। আপনাদের ঘর দিয়েছি, জমি দিয়েছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। এছাড়া আপনাদের লোন সুবিধাও দেয়া হচ্ছে।
বুধবার দেশের সাত জেলায় ১১টি গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি গ্রামগুলার উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করা। অন্তত একটি করে টিনের ঘর হলেও আমরা তা করে দেব। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য লোনের বিশেষ সুবিধা আছে। এছাড়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সদস্য হিসেবে আপনারা হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল পাবেন। সেগুলো পালন করে এবং জমিতে শাক-সবজি চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে নেবেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে জাতি। আমি চাই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পূর্বে দেশের একটি লোকও আর গৃহহীন থাকবে না।
উদ্বোধন হলো যে ১১ গুচ্ছগ্রাম
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন সানিয়াজং, লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন হীরামানিক ১ ও ২, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল কোট ভাজনী বালাদূতি, ঠাকুরগাঁও’র পীরগঞ্জ উপজেলার বাইরাচুনা সিরাইল, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার অন্তর্গত বাগপুর-২, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রিফিউজি পাড়া-১, রংপুরের পীরগাছা উপজেলাধীন জুয়ান-১, রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলাধীন আর্জি জয়দেব, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন সালাইপুর এবং ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন কবিরপুর-৫।
১১টি গুচ্ছগ্রামে ৩৯০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ১৪১৫ জন।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম হীরা এসময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ২য় পর্যায় প্রকল্পটি ১ অক্টোবর ২০১৫ সালে শুরু হয় এবং প্রকল্পের ব্যাপ্তি ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪১ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ২ হাজার ৫০০ গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। চলতি অর্থ বছর এই প্রকল্পের আওতায় ১৩৫টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে ৪ হাজার ৬০০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। যাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা।