দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সারাদেশে জেলা উপজেলা ঘুরে দেখেছি। মানুষের ঘর ছিল না, কাপড় ছিল না। অার খাদ্যাভাব তো ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। ক্ষমতায় থেকে অামরা মানুষের জন্য কাজ করছি। যে কারণে অাজ দেশের মানুষের ভাগ্য বদলাচ্ছে। দেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান সবই পাচ্ছে।

বুধবার সকালে গুচ্ছগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেমের সাতটি জেলার ১১টি গুচ্ছগ্রামের উদ্বোধন করেন তিনি।

জেলাগুলো হলো- লালমনিরহাট, ফরিদপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর ও গাইবান্ধা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই গুচ্ছগ্রাম সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। শুধু গৃহ নয়, অামরা তাদের চিকিৎসা এবং শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর যেভাবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে অনেক অাগে এসব সমস্যার সমাধান হতো।

বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন সে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তার সরকার কাজ করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ৬ বছর দেশে অাসতে পারিনি। এরপর বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ যখন অামাকে দলের সভাপতি করে দেশে ফিরিয়ে অানলো তখন থেকেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। ১৯৯৬ সালে অামরা যখন ক্ষমতায় অাসি তখনই দেশের মানুষের জন্য কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের উন্নত জীবন দেয়া অামাদের সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। হিসেব করে দেখা গেছে, এখনও ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ গৃহহারা রয়েছেন। তাদের জন্যও পর্যায়ক্রমে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ১৯৪১ সালে এ দেশের একটি লোকও গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎতের অালো জ্বলবে।
ভিডিও কনফারেন্সে গৃহহারাদের অনুভুতি শুনে শেখ হাসিনা বলেন, অাপনাদের গৃহ দিতে পেরে অামি অানন্দিত। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে অামরা কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তা, ঘাট, সংযোগ সড়ক করে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর অাগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে ভারতের কাছে কোনো প্রস্তাবই দেয়ার সাহস পায়নি। অামাদের সরকার এ সমস্যা সমাধান করে ছিটমহলবাসীদের নাগরিক জীবন নিশ্চিত করেছি।

এফএইচ

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর