রমজানের আগে ডলারের দাম বৃদ্ধি ভালো লক্ষণ নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘রমজানের আগে ডলারের দাম বাড়লে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ আছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনে আমরা রিজার্ভের ডলার ব্যবহার করবো।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান খোয়া। সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তোফায়েল বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এ মুহূর্তে উদ্যোগ না নিলে এর প্রভাব রমজানে পড়বে। বিষয়টি নিয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ফলে ডলারের দাম ৮৪ থেকে ৮২ টাকায় নেমে এসেছে। আশা করছি এটি ৮০ টাকার নিচে নেমে আসবে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কাউন্সিল আছে। ২০১৫ সালে কাউন্সিলের সর্বশেষ সভা হয়েছে। এই কাউন্সিলের আগামী সভা করতে আমার সম্মতি নিতে এসেছিলেন তিনি। চলতি বছরেই এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সভার তারিখ দুই দেশ পরবর্তীতে আলোচনা করে নির্ধারণ করবে।’
সভায় কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ভিয়েতনামে আমরা ওষুধ রফতানি করি। তাই সেখানে ওষুধ রফতানিতে আমরা ডিউটি ফ্রি সুবিধা চাইবো।’
হঠাৎ করে ডলারের দাম উঠেছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। আর বড় আমদানি দায় পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো।