এলিফ্যান্ট রোডে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ

এলিফ্যান্ট রোডে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে ও পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আলিফ গ্রুপের হেক্সা গার্মেন্টস-এর কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এলিফ্যান্ট রোড মাল্টিপ্ল্যান সিটির সামনের সড়কে শত শত শ্রমিক অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগরে ডিসি মারুফ হোসেন সরদার।

তিনি জানান, গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সরছেন না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন এবং স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের চারদিকে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

পোশাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করায় গোটা এলিফ্যান্ট রোডের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে মিরপুর রোডে যানজট দেখা দিয়েছে। এলিফ্যান্ট রোড হয়ে যেসব বাস শাহবাগ যেত, সেসব বাস নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছে।

মাল্টিপ্লান সিটির বিপরীতে গার্মেন্টসটির অফিস। এ গার্মেন্টসে প্রায় ৭ বছর ধরে অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন মারুফা নামে এক শ্রমিক । তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হবে। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই ও আমাদের পাওনা না দিয়ে বেআইনিভাবে গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের মুখপাত্র হেক্সা গার্মেন্টসের অপারেটর সোমা বলেন, আমাদের সবাইকে না জানিয়ে গতরাতে কারখানা থেকে মেশিন-যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা কাজ হারিয়ে পথে বসে গেছি।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও উল্টো গার্মেন্টস মালিক বেতন-বোনাস ও ওভারটাইমের টাকা না দেয় গার্মেন্টস বন্ধ করে দিলো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে জানান তিনি।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিককে তিন মাসের বেতন ও দুই ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে। উপযুক্ত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা পথ ছাড়বেন না।

রমনার এডিসি নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, বিজিএমইএ’র কাছ থেকে জানলাম, তারা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ