রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে অপহৃত শিশু সুমাইয়াকে ২৪ দিন পর উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে পুলিশের তদন্ত ও বিশেষ অভিযান শেষে আজ রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ইতোমধ্যে সুমাইয়াকে তার মা-বাবার কোলে তুলে দিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) রাতে উদ্ধারের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিশু সুমাইয়াকে তার মা-বাবার কাছে দেয়া হয়। বুধবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি বাড়ি থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে লালবাগ বিভাগের পুলিশ। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবিনা আক্তার বৃষ্টি (২৮) নামের এক নারী ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ডিসি বলেন, ‘অপহৃত শিশুটির মা-বাবার মুখে হাসি ফিরেছে। কারণ ফিরেছে সুমাইয়া।’
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান বলেন, ‘প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি অপহরণকারী ওই নারী কদমতলী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। পরে ওই এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে গভীর রাতে পাটেরগাঁওয়ের একটি বাড়ি থেকে শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি অপহরণের সঙ্গে জড়িত বৃষ্টি নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য। তিনি গত কিছুদিনের মধ্যে কয়েকবার ভারত গিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। অপহৃত শিশু সুমাইয়াকেও সময়-সুযোগ বুঝে ভারতে পাচার করা হতো বলে আমরা মনে করছি।
তিনি বলেন, শিশুটিকে আপাতত মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হলেও তাদের সবাইকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে সুমাইয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে সুমাইয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন গত ২৪ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। বাবা জাকির স্থানীয় একটি স্টিল কারখানার কর্মচারী।