বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড মারিও গোমেজের শেষ মিনিটের গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ধরাশায়ী হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ফল: বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ার্নের পক্ষে প্রথমেই আরেক গোল করেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক রিবেরি। এক গোল পরিশোধ করেন রিয়াল মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল।
এ হারে ফাইনালে টিকিট কাটার আশা ফিকে হলো রেকর্ড নয়বারের শিরোপা জয়ীদের। ফিরতি লেগে বায়ার্নকে বড় ব্যবধানে হারতে না পারলে স্বপ্ন ভঙ্গ হবে হোসে মরিনহোর দলের। দুই লেগ মিলে গোল ব্যবধানে যারা এগিয়ে থাকবে ফাইনালে তারাই মুখোমুখি হবে অপর সেমিফাইনালিস্ট বার্সেলোনা ও চেলসির মধ্যে জয়ীর বিপক্ষে।
বায়ার্নের মাঠে আক্রমণে যেন অনেকটাই ধারহীন হয়ে পড়ে সফরকারীরা। ৬মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক নুয়ারকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি রিয়াল ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা।
এদিকে ১৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। বায়ার্নের আক্রমণ রুখতে গিয়ে বক্সের মধ্যে ফ্রাঙ্ক রিবেরিকে ফেলে দেন রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। এক্ষেত্রে পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি।
পেনাল্টি নাকোচ হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই বায়ার্নকে গোলের সূচনা এনে দেন ফ্রাঙ্ক রিবেরি। কর্নার কিকের বল রামোসের থেকে প্রতিহত হয়ে চলে আসে এই মিডফিল্ডারের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য ভেদ করেন রিবেরি।
কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মারিও গোমেজ। ৩৯ মিনিটে গোমেজের শট প্রতিহত করেন রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। ৭১ মিনিটে ফিলিপ লামের ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বায়ার্নের এই ফরোয়ার্ড। শটটি চলে যায় গোল বারের উপর দিয়ে। যদিও এই ফরোয়ার্ডের পা থেকেই আসে জয় সূচক গোলটি (২-১) । ৯০ মিনিটে আবারো চমৎকার ক্রসে বল বানিয়ে দেন লাম। এক্ষেত্রে বল জালে জড়াতে কোন অসুবিধা হয়নি গোমেজের।
এর আগে দ্বিতীয়ার্ধে (৫২ মি:) রোনালদোর ক্রস থেকে মেসুত ওজিল রিয়ালকে (১-১) সমতায় ফেরালেও বাকি সময়ে অনেকটা নিষ্প্রভই মনে হয়েছে মরিনহোর শিষ্যদের। ৬৮মিনিটে ওজিলের বদলি হিসেবে মার্সেলোকে এবং ৮৫ মিনিটে করিম বেনজেমার বদলি হিসেবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গঞ্জালো হিগুয়েনকে নামিয়েও রিয়ালকে সফলতা এনে দিতে পারেননি স্পেশাল ওয়ান খ্যাত মরিনহো।
এদিকে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪৫ মিনিটে প্রথম লেগের অপর সেমিফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।