হাওর অঞ্চলের কারণে সরকারের মজুদে কোন প্রভাব পড়বে না : খাদ্যমন্ত্রী

হাওর অঞ্চলের কারণে সরকারের মজুদে কোন প্রভাব পড়বে না : খাদ্যমন্ত্রী

হাওর অঞ্চলে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হলেও তাতে সরকারের মজুদে কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বুধবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত খাদ্য, পোল্ট্রি ও কৃষিপণ্য প্রদর্শনী বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বছরে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন খাদ্য উৎপন্ন হয়। হাওর অঞ্চলে ফসল নষ্ট হয়েছে ছয় লক্ষ মেট্রিক টন। বছরে খাদ্য চাহিদা রয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের জন্য ইতোমধ্যেই ওএমএস চালুসহ সরকার বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারের খাদ্য মজুদও যথেষ্ট সন্তোষজনক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে যখন সমগ্র দেশ কঠিন বন্যার কবলে পড়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই বন্যা সফলভাবে মোকাবেলা করেছিল।
কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগ্রো-ফুড সেক্টরসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নতি অর্জন করেছে। এগ্রো-ফুড আজ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। প্রাণ, স্কয়ারসহ যেসব কোম্পানী এ ধরনের পণ্য উৎপাদন করে তাদেরকে বিদেশের বাজার ধরে রাখতে হবে। এজন্য এ সেক্টরকে আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। এই সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করার ব্যাপারে অতীতে কোনো সরকারই চেষ্টা করে নাই। এই অধিকার আমরা দিতে চাই। এখন আমরা জনগণ এবং ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করছি। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করছি। যে সমস্ত বড় বড় কোম্পানী খাদ্য উৎপাদন করে তাদেরকে আরো স্বচ্ছ ও সচেতন হতে হবে। যেন তাদের উৎপাদিত খাদ্য নিরাপদ হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এক সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। বর্তমানে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, বগুড়া আরডি এর মহাপরিচালক এমএ মতিনসহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ