গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি একেএম এনামূল কবীরের বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার না করার অভিযোগ করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা।
বুধবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসুড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক (লিচু মোল্লা) এ ব্যাপরে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক তার বাবা আব্দুর রশিদ মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী আব্দুল জাহাঙ্গীর ফরাজী নিমন্ত্রণ না পাওয়ায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ নিজস্ব লোকজন নিয়ে ওইদিন দুপুরে অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানটি পণ্ড করে দেন।
খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এসময় আইদুল হক এর প্রতিবাদ করলে হামলাকারিরা পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় আইদুল হককে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হলে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে এ ব্যাপারে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অদালত, গোপালগঞ্জে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলার সব আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক তার লিখিত অভিযোগে আরো জানান, টুঙ্গিপাড়া থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছানের পরও আসামি পক্ষের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিরাট অংকের উৎকোচ নিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করছেন না।
এ ব্যাপারে (মুক্তিযোদ্ধা) থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে দুর্ব্যবহার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সর্ম্পকে কটূক্তির শিকার হন তিনি।
অপরদিকে এ সুযোগে আসামি পক্ষ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে নানা রকম হুমকি প্রদর্শন করছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি তার উপর হামলাকারি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।