চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মুজিবর রহমানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এ মামলায় মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র সাবেক পরিচালক ও দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুর রহমান চৌধুরী।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মামলার সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত ৯ জন এবং মূল চার্জশিটের ২ জনসহ মোট ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এনামুল হক নামের এক অভিযুক্তকে অসুস্থ থাকায় হাজির করা হয়নি।
যাদের আদালতে হাজির হয়েছেন তারা হলেন, জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র তৎকালীন মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র তৎকালীন পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই’র সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন, উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএল’র সাবেক এমডি মোহসীন তালুকদার, চোরাচালানী হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও ট্রলার মালিক দীন মোহাম্মদ।
এছাড়া সম্পূরক চার্জশিভুক্ত দু’আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) ’র সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়–য়া ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নূরুল আমিন বর্তমানে পলাতক আছেন।
এ মামলায় এরইমধ্যে তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক শিল্পসচিব ড. শোয়েব আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএইফআই’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাদিক হাসান রুমি, বিসিআইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম এবং সিএমপি’র বন্দর জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুর রহমানসহ ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এছাড়া এনএসআই’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী এবং সিএমপি’র তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) আব্দুল্লাহ হেল বাকী’র এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য প্রায় সাড়ে তিন বছর অধিকতর তদন্তের পর ২০১১ সালের ২৬ জুন সিআইডি আদালতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিচার।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়ে।