রাজধানীর গুলশান-বারিধারা লেকের শাহজাদপুর বারিধারা সংযোগ সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত হওয়া মরিয়ম টাওয়ার উচ্ছেদের বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘মরিয়ম টাওয়ার-১ গুলশান-বারিধারা লেকের বিষফোঁড়া। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালত বললেই এটি সরিয়ে ফেলা হবে।’
রোববার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজাদপুর-বারিধারা সংযোগ সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জনসাধারণের চলাচল উন্মুক্ত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চলছে।
সিটি কর্পোরেশন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই রোডটির লেকপাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল দখলদাররা। যানজট নিরসনে এলাকাটি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সিটি কর্পোরেশন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মরিয়ম টাওয়ার-২ এর সামনে থেকে উত্তর দিকে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য নতুন একটি সড়ক নির্মাণ করা হবে। ৫০ ফুট প্রস্থের এ সড়কের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকেই শুরু হবে। সড়কের জন্য যেসব জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন সড়কের এক প্রান্তে মরিয়ম টাওয়ার-১ নামের একটি ভবন পড়েছে। এটি বিএনপি সরকারের সময়ে অনুমোদন দেয়া হয়। তখন গুলশান লেকের কথা চিন্তা করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সময়ে লেকের এক ইঞ্চি জায়গাও দখল হতে দেয়া হয়নি। এই ভবনটি এখন লেকের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। তবে আদালত বললে এ টাওয়ার সরিয়ে ফেলা হবে।’
উচ্ছেদ অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘এই সড়কের জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন স্থানীয় জমির মালিকরা। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মামলা নিয়ে আমাকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। আলাপ-আলোচনার পর তারা মামলা তুলে নেন। এতে সড়কটি নির্মাণের পথ উন্মুক্ত হয়।’
উচ্ছেদ অভিযানে আরও উপস্থিত রয়েছেন- রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল ইসলাম প্রমুখ। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।