সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পদত্যাগে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়নি, বরং গণতন্ত্রে এক ইতিহাস সৃষ্টি হলো বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কর্মকাণ্ড নয়, বরং তার সহকারীর কর্মকাণ্ডের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। যার কারণে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতো, যদি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার এপিএসকে চাকরিচ্যুত ও অন্য দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত না করতেন এবং তিনি নিজে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করতেন।’
শুধু সুরঞ্জিত নয়, সরকারকেই পদত্যাগ করতে হবে- বিএনপির এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘এটা শুধু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যাপার। তার একার জন্য পুরো সরকার কেন পদত্যাগ করবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএসের বিরুদ্ধে কাগজে কলমে অনেক লেখা বের হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউই রিজাইন দেননি। এমনকি খালেদা জিয়াও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। কিন্তু আমার নেত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে গণতন্ত্রের এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। যার ফলে গণতন্ত্রের যাত্রা পথে আমরা একধাপ এগিয়েছি।’
১৭ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।