বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে সুস্বাস্থ্য, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করা এবং একটি জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরব হয়েছেন বেশ ক`জন জনপ্রিয় তারকা। তারা হলেন হাসান মাসুদ, সাজু খাদেম, আজমেরী আশা, ইমন এবং মিশু সাব্বিরসহ আরও অনেকে।
স্যাভলন ক্লিন বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন সচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন এইসব তারকারা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত এই ক্যাম্পেইনেও অংশগ্রহণ করেন। সম্প্রতি অ্যাডভান্সড ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই) দেশব্যাপি এই ক্যাম্পেইন চালু করে।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্যাভলন ক্লিন বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সর্ব সাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এই ক্যাম্পেইন আয়োজন সম্পর্কে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে সুস্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করার অংশ হিসেবে দেশব্যাপি এসিআই শুরু করেছে ‘স্যাভলন ক্লিন বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন। আমরা আশা করি, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সকলের মাঝে সুস্থ ও জীবাণুমুক্ত থাকার অভ্যাস তৈরি হবে।’
‘স্যাভলন ক্লিন বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের মাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে এসে অভিনেতা হাসান মাসুদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের অভ্যাস অনুযায়ী সময়মত খাবার খাওয়া, অফিসে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করি। কিন্তু সেই খাবার শেষে ময়লাগুলো সঠিক স্থানে ফেলার অভ্যাস করি না। আমরা চাইলেই কিন্তু একটি আবর্জনামুক্ত শহর পেতে পারি। তাই আসুন আজ থেকে নিজে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলব না এবং অন্যকেউ ফেললে তাকেও সঠিক পরামর্শ দেব।’
আজমেরী আশা বলেন, ‘সমাজ পরিবর্তনশীল প্রতিটি কাজে সব সময়ই তরুণরা আগে এগিয়ে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে আমার মতো অনেকেই এগিয়ে আসবেন এবং এই মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করবেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা সঠিক জায়গায় ফেলার অভ্যাস করলে একটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ গড়া অবশ্যই সম্ভব।’
সাজু খাদেম বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে ভাবি যে ঘর বা বাড়িটিতে থাকি সেটাই শুধু থাকার জায়গা, শুধু সেটিকে পরিস্কার করলেই হবে। কিন্তু কেউ ভাবি না পুরো শহরটি আমার থাকার জায়গা। আমরা প্রত্যেকেই যদি যারা যার জায়গা থেকে নিজের আশেপাশের জায়গাটি পরিস্কার রাখি তাহলেই এই শহরটি আর নোংরা হবে না।’
ইমন বলেন, ‘বর্তমান সমাজের মানুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। অনেকেই চেষ্টা করছেন নিজের জায়গা থেকে তার আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার। প্রয়োজন শুধু উৎসাহের। স্যাভলন-এর আয়োজনে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করি দেশের সর্বস্তারের মানুষ এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করবেন।’
মিশু সাব্বির বলেন, ‘আমরা এই শহরে থাকি আর আমরাই এটাকে অপরিস্কার করি। অন্য কেউ বাইর থেকে এসে নোংরা করে না। আমরা সবাই মিলে ময়লা নির্দিষ্ট স্থানের ফেলবো এবং পরিস্কার থাকার অভ্যাস করবো। আমাদের সবার মাঝে এই অভ্যাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্যাভলনকে ধন্যবাদ।’