পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের জন্য এখনো অপেক্ষায় রয়েছে সরকার। এজন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গ নিয়ে এ ধরনের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক সই (এমওইউ) করে বাংলাদেশ সরকার। চূড়ান্ত চুক্তিতে সই হলে মালয়েশিয়ার অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল মালয়েশিয়ার সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তবে বিশ্বব্যাংক, মালয়েশিয়া বা যে কোনো দাতা সংস্থাই হোক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগ্রহী যে কোনো সংস্থার সহযোগিতায় এ সরকারের মেয়াদকালেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীদের দীর্ঘ সময় অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গটি প্রাধান্য পায়।
আলোচনায় মন্ত্রীরা দ্রুত পদ্মা সেতু নির্মাণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যদি অর্থায়ন না করে তাহলে মালয়েশিয়ার সহযোগিতায়ই করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে যদি শেষ পর্যন্ত তাদের সহযোগিতা না পাওয়া যায়। তাহলে কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে।’
‘সরকারের মেয়াদের মধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। আমরা কাউকে চটাতে চাই না। পদ্মা সেতু তো নির্মাণ করতেই হবে এর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাংক না করলে বিশ্বব্যাংকের যেসব সহযোগী সংস্থা আছে তারাও করতে পারে। কারণ চুক্তি তো আর বাতিল হয়নি।’ বেশির ভাগ মন্ত্রীই এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
সূত্র জানায়, মন্ত্রীদের এসব মন্তব্যের এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক সহায়তা দেবে কি না সেটা আগামী এক মাসের মধ্যে জানা যাবে।’
সূত্র আরও জানায়, এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে চাই। কোনো কারণেই এটা বাদ দিতে পারবো না। কেউ না করলে মালয়েশিয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করে কাজ শুরু করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতুও করতে হবে। এখানে জাপান যদি আগ্রহী হয় আসতে পারে। আমরা কাউকে অসন্তুষ্ট করে কিছু করতে চাই না। আবার জোর জবরদস্তি করে কারও সহযোগিতা নিতে চাই না।’