‘৭১ ও ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা’

‘৭১ ও ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘৭১ ও ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সবই একই সূত্রে গাঁথা। এ হত্যাকাণ্ডগুলো স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছেন তাদেরকে শেষ করার জন্য চালানো হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোটার্স মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘স্মরণীয় যারা-বরণীয় তাঁরা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ বাংলাদেশ।

আমু বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে আবার ধ্বংসের চেষ্টা করেছেন। এর জন্যই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছেন।’

যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও তার দুর্নীতিগ্রস্ত ছেলেদের ক্ষমতায় বসানোই খালেদা জিয়ার রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরিষদের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ছবি বিশ্বাস, পরিষদের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া ও খন্দকার মকবুল ইসলাম প্রমুখ।

মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাশে এ চার নেতা সব সময় কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য এ নেতাদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়েছেন। তারা বুক দিয়ে গুলি নিয়েছেন, পিঠ দিয়ে নয়, কিন্তু কোনো কিছুর লোভে তারা তাদের সঙ্গে আপোস করেননি।

মায়া আরও বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে গণতন্ত্র বাঁচবে দেশ বাঁচবে। তাই খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে তাকে শেষ করতে চাচ্ছে।

রাজনীতি