আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৮ বছরের আগে কোন কন্যা সন্তান এবং ২১ বছরের আগে কোন ছেলের বিয়ে দেয়া যাবে না, এটাই আইন।
তিনি বলেন, ‘আইনের এক্সেপশন থাকে। আমরা এই পৃথিবীতে যারা বাস করি, তারা সব অবস্থা সম্পর্কে জানি না। অনেক সময় এমন অবস্থা হয়, যাকে বলি এমার্জেন্সি সিচুয়েশন। এই এমার্জেন্সি সিচুয়েশন মোকাবেলা করতে একটা বিধান থাকে। আইনেও একটা বিধান রয়েছে। এটা রুল না, জরুরি অবস্থায় অভিভাবক ও আদালত দুইয়ের সম্মতিক্রমে জরুরি অবস্থার কারণে একটা মেয়ে ও ছেলের বিয়ে হতে পারে।’
মন্ত্রী বুধবার সাভারে লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। দুই মাস মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে ২৯ জন সাব-রেজিস্ট্রার অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা দেশে অবিবাহিত মা আছে। আমাদের দেশে অবিবাহিত মা, এটা কোন ধর্মেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মের কথা যদি বাদও রাখি, আমাদের সমাজে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। পিতা-মাতা ও সন্তানের একটা ভবিষ্যত ব্যবস্থা করতে এই প্রভিশন রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা বাংলাদেশের জন্য চিরকালের কল্ঙ্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুনীদের বিচারের পরও এই কলঙ্ক মোচন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারলে তাঁর প্রতি যে ঋণ, তা কিছুটা হলেও শোধ করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে যে নতুন দিন আসছে, সেখানে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বাড়বে। তারা উন্নত সেবা চাইবে। প্রশিক্ষণ ছাড়া সেই সেবা দেয়া সম্ভব হবে না। তাই আমাদের মানব সম্পদ যেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল প্রশিক্ষণ পান এবং সবচেয়ে ভাল সেবা দিতে পারেন, সেইভাবে তাদের গড়ে তুলতে হবে।
সাব রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ দুটি বিষয় গুরুত্ব দেয়, তা হলো জীবন ও ভূমি। ভূমির সাথে কেবল অর্থের সম্পর্ক নেই। এটার সাথে আত্মপরিচয়েরও বিরাট সম্পর্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।