প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে এটি ছিল এক বিরল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তাঁরই কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অংশ হিসেবে বুধবার এখানে অনুষ্ঠিত অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (এনডিডি) সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনা সভায় এই বিরল ঘটনাটি ঘটে।
অটিজম এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার সংক্রান্ত তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে রাজকীয় ব্যাংকুয়েট হলে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গেস্ট অব অনার হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ডব্লিউএইচও’র (হু) চ্যাম্পিয়ন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। হু’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম খেত্রপাল সিং আলোচনা অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসাও শেরিং তোবগায়ে ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বিশ্বে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃিষ্টতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ভূটানের প্রধানমন্ত্রী অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অটিজম বিষয়ে হু’র চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এবং ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এবং সূচনা ফাউন্ডেশন, এ্যাবিলিটি ভুটান সোসাইটি (এবিএস) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব আঞ্চলিক অফিসের টেকনিকেল সহায়তায় তিনদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উদ্বোধনী ও সমাপনি অনুষ্ঠানসহ কয়েকটি টেকনিকেল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সরকারি নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কর্মীরা আলোচনায় অংশ নেবেন।