বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত আদভানি, এম এম জোশি, উমা ভারতীসহ ২১ নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চালাতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি পি সি ঘোষ ও বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ বুধবার এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রায়বরেলি ও লখনউ আদালতকে দু’বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, সিবিআই (ভারতের কেন্দ্রীয়ে গোয়েন্দা সংস্থা) সুপ্রিম কোর্টে ওই নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চালানো আর্জি জানায়।
তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে সাড়া দেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে কল্যাণ সিংহকে এ মামলার বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি এখন রাজ্যপালের পদে রয়েছেন। সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পরই তার বিরুদ্ধে এ মামলা চালু করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিম্ন আদালতগুলোতে প্রতিদিন এ বিষয়ে শুনানি চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি যেসব বিচারক এ মামলার সঙ্গে জড়িত, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তাদের বদলি করা যাবে না।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা আদালতে দায়ের করা হয়। প্রথম মামলাটি হয় করসেবকদের বিরুদ্ধে লখনউ আদালতে। শীর্ষ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি হয় রায়বরেলি আদালতে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে অযোধ্যায় ষোড়শ শতকের একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় করসেবকরা। এ নিয়ে দু’টি মামলা দায়ের হয়। প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, বিনয় কাটিয়ারদের মতো নেতার বিরুদ্ধে।
অপর মামলাটি দায়ের হয় কয়েক লাখ করসেবকের বিরুদ্ধে। তারাই মসজিদের কাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ‘টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে’ খারিজ করে দিয়েছিল রায়বরেলির আদালত। আর ২০১০ সালে সেই রায় বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। আদালত জানায়, রেহাইয়ের রায় তারা গ্রহণ করছে না।