বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সামীবাড়ী বাজার এলাকায় সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরেক শ্রমিক। বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বেটখের গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে সোলায়মান (৫৫) ও একই ইউনিয়নের ররোয়া গ্রামের মৃত আয়নালের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০)। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন একই গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে সোহেল রানা (২৬)।
অসুস্থ সোহেল রানাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রিপনের বাসায় সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে প্রথমে একজন শ্রমিক আটকা পড়েন। পরে তাকে উদ্ধারে ভেতরে নেমে আরো দুই শ্রমিক আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে রায়গঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এরমধ্যে চান্দাইকোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন ও শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোলায়মান আলী মারা যান। অসুস্থ অন্যজন সোহেল রানার অবস্থায়ও গুরুতর। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামে ধান খেতের পাশ থেকে অজ্ঞাত (৬০) এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান, নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কী কারণে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেটাও জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।