চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির বিপক্ষে ৪-০ গোলে হারের পর শঙ্কায় পড়েছিল বার্সার কোয়ার্টারে খেলা। তবে মেসি-নেইমারদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে রীতিমত মিরাকল ঘটিয়ে ঘরের মাঠে ৬-১ ব্যবধানে জিতে শেষ আট নিশ্চিত করে দলটি।
এবার শেষ আটেও একই পরিণতি বার্সার। জুভেন্তাসের মাঠে গিয়ে হেরে এসেছে ৩-০ গোলে। সেমিফাইনালে যেতে হলে অন্তত চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বার্সাকে। আর এবার বার্সা কী পারবে আরেকটি অবিশ্বাস্য কামব্যাক করতে? আজ বার্সার ঘরের ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায়।
ঘরের মাঠে আবারও অবিশ্বাস্য কামব্যাক করার ক্ষমতা আছে বার্সার। এমনটাই বিশ্বাস করেন পিএসজির বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা নেইমার ও দলের কোচ এনরিকে। সেই ম্যাচের আগে এক ইন্টারভিউতে নেইমার বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমরা এটা (কামব্যাক) পারবোই। আমরা যে কোনো দলের পেছনে থাকতেই পারি। তবে বার্সেলোনা সব সময়ই একই রকম। কঠিন কাজ আমরা সম্ভব করতে পারি।’
কিভাবে আরেকটি মিরাকল সম্ভব? নেইমার বলেন, ‘যদি আমাদের সব কিছু পরিকল্পনামত হয় এবং সবকিছু সঠিকভাবে এগিয়ে চলে, তাহলে আরেকটি কামব্যাক অবশ্যই হতে পারে। আমি আমার দলের ওপর বিশ্বাস রাখি এবং আমরা যে এমন কিছু করতে পারি, সে বিষয়েও বিশ্বাস রাখি। সবকিছুরই শেষ আছে। সুতরাং, এক ম্যাচ হারে কিছু যায় আসে না। কারণ, আমরা চাই সব কিছু জিততে।’
আর বার্সা কোচ এনরিকে বলেন, `আমি সমর্থকদের পুরো ম্যাচ না দেখে চলে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। পিএসজির বিপক্ষে আমরা দেখেছি, কি হতে পারে। পিএসজির বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন আশাবাদী হওয়ার পক্ষে যুক্তি দেয়। আর আমরা ইতিহাস গড়ার আরেকটি সুযোগ পেয়েছি। ৯৫তম মিনিট পর্যন্ত আমরা সবকিছু দিব। (পিএসজির বিপক্ষে) আমরা তিন মিনিটে তিন গোল করেছিলাম, সুতরাং সবকিছুই সম্ভব। আশা করি, এর সঙ্গে জড়িত সবার জন্যই এটা বিশেষ এক রাত হতে যাচ্ছে।`
আগের ম্যাচে পারলেও জুভেন্টাসের বিপক্ষে এটা যে কঠিন তা মেনে নিয়েছেন দুইজনই। নেইমার বলেন, `জুভেন্টাস খুব ভালো দল। দারুণ ভারসাম্য দলটিতে। সুতরাং, তাদের মুখোমুখি হওয়াটা আমাদের জন্য কঠিনই হবে। পিএসজির মুখোমুখি হওয়ার মত একই অবস্থা আমাদের জন্য। তখন আমাদের সামনে ছিল মাত্র ১ ভাগ সুযোগ। বাকি ৯৯ ভাগ আমরা নিজেদের কাজ, পরিশ্রম এবং বিশ্বাস দিয়ে জয় করেছি। সেই বিষয়গুলো আবারও এসে গেছে আমাদের জন্য।`
আর এনরিকে বলেন, `এ ম্যাচে আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের সামনে বিকল্প একটাই, আক্রমণ, আক্রমণ আর আক্রমণ করে মাত্র তিনটি গোল আদায় করে নেওয়। কিন্তু যদি তারা গোল করে তাই আমাদের লক্ষ্য পাঁচ গোল করা।`