ঘোষিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান ছাড়বে অস্ট্রেলীয় বাহিনী

ঘোষিত সময়ের আগেই আফগানিস্তান ছাড়বে অস্ট্রেলীয় বাহিনী

পূর্ব ঘোষিত সময়সীমার আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, পূর্ব-পরিকল্পিত সময় সীমার আগেই আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ার সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তান শীর্ষক ন্যাটোর সম্মেলনের প্রাক্কালে রাজধানী ক্যানবেরায় এই ঘোষণা দিলেন অসি প্রধানমন্ত্রী।

সেনা প্রত্যাহার এ বছর শুরু হয়ে আগামী ২০১৩ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে এসময় জানান তিনি। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে গিলার্ডের এই ঘোষণা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইতিমধ্যেই ন্যাটো আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব স্থানীয় বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেছে। কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোও স্থানীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বর্তমানে।

আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে বর্তমানে ৫০ টি দেশের প্রায় ১লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে অধিকাংশ সেনাই যুক্তরাষ্ট্রের।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটে দেওয়া গিলার্ডের ঘোষণা এমন এক সময় আসলো যখন দুই দিন আগেই তালেবানরা কাবুলে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তারা কাবুলের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে।

আগামী ২১ মে শুরু হওয়া শিকাগো সম্মেলনেই অস্ট্রেলিয়ার সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি উত্থাপিত করা হবে বলে জানিয়েছেন গিলার্ড। এর আগে গিলার্ড সরকার ঘোষণা করেছিলো অস্ট্রেলীয় বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করবে ২০১৪ সালে। আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৫৫০ জন সেনা রয়েছে। এদের বেশিরভাগই মোতায়েন উরুজগান প্রদেশে।

২০০১ সালে আফগানিস্তান অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ অস্ট্রেলীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া।

গিলার্ডের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের  সংখ্যালঘু সরকারের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নেমেছে এবং অনেক পর্যবেক্ষক ধারণা করছেন গিলার্ডের লেবার পার্টি আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের সম্মুখীন হবে। এই পরিস্থিতি সামলাতেই গিলার্ড সেনা প্রত্যাহার এগিয়ে আনলেন বলে মনে করছেন অনেকেই।

আন্তর্জাতিক