আকর্ষণীয় শারীরিক গঠনের নান্দনিক সৌন্দর্য্যের অধিকারী এক দুর্লভ মাছের সন্ধান মিলেছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে। এ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘সাকার মাউথ’। ক্যাটফিস জাতীয় এই মাছটি সোমবার সকালে হ্রদের জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
খবর পেয়ে জেলেদের কাছ থেকে মাছটি উদ্ধার করে রাঙামাটিতে নিয়ে আসেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। সৌখিন লোকদের অ্যাকুরিয়ামে থাকার কথা থাকলেও দুর্লভ এই মাছটি পাওয়া গেছে হ্রদের জেলেদের জালে।
নৌবাহিনীর কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার সকালে দুর্লভ প্রজাতির এই মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়েছে- এমন খবর পেয়ে আমি আমার কাপ্তাই অফিসের মাধ্যমে মাছটি জেলেদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে রাঙামাটিতে নিয়ে আসি।
তিনি জানান, এই মাছটি মূলত দুর্লভ প্রজাতির। এটি বহির্বিশ্বের কয়েকটি দেশে পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে কাপ্তাই হ্রদে এতটা বড় আকারের মাছ এই প্রথম পাওয়া গেল।
আসাদুজ্জামান বলেন, হ্রদের তলদেশে বাস করা এই মাছটি দেখেই আমরা বুঝতে পেরেছি যে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলে এই দুর্লভ মাছটি এতটা বড় হয়েছে। এই জাতীয় মাছের উৎপাদন কাপ্তাই হ্রদেই সম্ভব। এই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্যই আমরা মাছটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। দুর্লভ এই মাছটিকে নিয়ে গবেষণার জন্য মাছটিকে রাঙামাটিস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে তিন বছর আগে এরকম আরও একটি মাছ কাপ্তাই হ্রদে পাওয়া গিয়েছিল জানিয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী বেলাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এই মাছ অ্যাকুরিয়াম ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। অ্যাকুরিয়ামের এই মাছগুলো আরও অনেক ছোট আকারের হয়।
তিনি জানান, এই মাছ হ্রদের তলদেশে বাস করে এবং তলদেশে জন্মানো শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ খেয়ে থাকে। এরা খুবই শান্ত স্বভাবের হয়।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী বেলাল হোসেন বলেন, মাছটি মিঠা পানির মাছ। কাপ্তাই হ্রদের পানিতে মাছটি প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বড় হওয়ায় বুঝা যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে এ জাতীয় মাছ চাষ করা যেতে পারে। তাই বিষয়টি গবেষণার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।