একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ তিনটি মামলা স্থানান্ত করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার সকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল বিষয়টির শুনানি শেষে তা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপি নেতা আব্দুল আলীমের মানবতাবিনেরাধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলা ৩টি স্থানান্তর করা হয়।
শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল নিজে মনে করলে ও প্রসিকিউশন চাইলে মামলা স্থানান্তর হতে পারে। আসামিপক্ষের বিষয়টি এ আইনে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা মনে করি এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ আইনের মাধ্যমে মামলাগুলো স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আইনে এ ক্ষেত্রে সমঅধিকার রক্ষা করা হয়নি।’
এদিকে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল-১-এ অধিক মামলা থাকায় দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ৩টি মামলা স্থানান্তরে আবেদন জানানো হয়।’
এর আগে রোববার চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত আবেদন করেন।
পরে ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিষয়ের সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আবেদনের অনুলিপি আসামিপক্ষকেও দেওয়ার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে গত ২২ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামলার শুনানির মধ্য দিয়ে ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।
উল্লেখ্য, একাত্তরে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা পল্লবী থানার একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কাদের মোল্লা গ্রেফতার হন। একই সঙ্গে গ্রেফতার হন দলের অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান।
এরপর ২ আগস্ট এ দুই জামায়াত নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক রাখতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে আব্দুল যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতরকৃতদের মধ্যে আলীম একমাত্র জামিন পাওয়া আসামি। জামিনপ্রাপ্ত অবস্থায় বনানীতে তার ছেলে ফয়সাল আলীমের বাসায় তিনি অবস্থান করছেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা থেকে গত বছরের ২৭ মার্চ সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করা হয়।