বহুল আলোচিত ভারত সফর শেষ হতে না হতেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র ভুটান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া শেখ হাসিনার তিনদিনের এ রাষ্ট্রীয় সফরকে ব্যাপক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে হিমালয়ে পূর্ব কোলঘেঁষা রাজতান্ত্রিক এ দেশটি।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটান যাচ্ছেন।
এরইমধ্যে বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে মাত্র ৮ লাখ জনসংখ্যার এ দেশটিতে। এ সফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বৌদ্ধ রাষ্ট্রটি।
দেশটির অন্যতম গণমাধ্যম কুয়েনসেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার সফরের এসব গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
দেশটি সফরকালে শেখ হাসিনা ভুটানের সঙ্গে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করবেন। এছাড়া তিনি রাজধানী থিম্পুর হেজোতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এরআগে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে ভুটানকে ঢাকায় দূতাবাস তৈরির জন্য জমি দিয়েছিল।
সফরের দ্বিতীয়দিন ১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার’ শীর্ষ তিন দিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
দুই দেশের মধ্যকার গভীর সম্পর্কের গুরুত্ব অনুযায়ী শেখ হাসিনা দেশটি সফর করছেন বলে সম্প্রতি মিট-দ্য-প্রেসে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে।
ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়োনপো দামঘো দর্জি বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে ও দেশটিতে দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৭৪ সালে ভুটানের চতুর্থ রাজা বাংলাদেশ সফর করেন। এরপর থেকে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা বহুবার দ্বি-পাক্ষিক সফর করেছেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯, ২০১০ সালে এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত সফরে ভুটানে আসেন। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশটি সফর করেন। অন্যদিকে দেশটির রাজা ও রানী ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন।
দর্জি আরও বলেন, এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও বোঝাপড়া আরও জোরদার হবে। ফলে এ রাষ্ট্রীয় সফরকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, সাংস্কৃতিক লেনদেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আমরা পানির উৎস ব্যবস্থাপনা ও ত্রি-পাক্ষিক পানিবিদ্যুৎ নিয়েও কথা বলেছি।
তিনি জানান, বহুপাক্ষিক যেকোনো ফোরামে ভুটান ও বাংলাদেশ পরস্পরকে সমর্থন করে আসছে। এছাড়া যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে দেশটি বাংলাদেশের পক্ষে তার সমর্থন জানিয়েছে।
এসআ