বার্ষিক ৬ শতাংশের টেকসই প্রবৃদ্ধি একটি বিশাল অর্জন। তবে এটিই যথেষ্ট নয়।
সোমবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ-ইউএসএ ট্রেড রিলেশন্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা।
শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ইউএসএ কংগ্রেসের বিষয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে ইউএসএ কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে হতে পারে বা যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতের মাধ্যমে আলোচনা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে মজিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে ফোরাম গঠন করা যেতে পারে। এই ফোরাম বছরে এক থেকে দুইবার বৈঠক করে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাধাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা দূরীকরণে কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা প্রস্তাব করবে।
বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় দেশ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি একে আজাদ।
একে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চায় না। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়িক সহযোগিতা চায়। যার অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে।
ডিব্লিউটিএ’র দোহা আলোচনা অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার কথা। সে হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপে এই সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পাচ্ছে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র সভাপতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি পলিটিক্যাল ইকনোমিক চিফ টেডিয়াস গ্লাকম্যান প্রমুখ।