স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জঙ্গিবাদ ও মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জুমার নামাজের আগে অথবা পরে জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ইমামদের বয়ান দেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি ইমামদের উদ্দেশে বলেন, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়াই আমাদের লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
রোববার বিকেলে স্থানীয় সার্কিট হাউসে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত চট্টগ্রাম জেলা কমিটির মাসিক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্প্রতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া মাদক ব্যবসা বন্ধের নানা পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় নজরুল ইসলাম এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূর-ই আলম মিনা এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা সংস্থার প্রতিনিধিগণ, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, জনগণই আমাদের মূল শক্তি। সুতরাং জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং এই অপশক্তির বিরুদ্ধে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয় মোকাবেলায় সহায়য়ক হবে।
তিনি সন্তানদের গতিবিধি ও কর্মকান্ডের উপর নজর রাখা এবং তারা কোথায় যায় ও কাদের সাথে মিশে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখার জন্য পিতা-মাতার প্রতি আহ্বান জানান।
সম্প্রতি সৌদি আরবের দু’জন আলেমের বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইমামদের বক্তব্য দেয়া কতটা প্রয়োজন তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সৌদি ইমামদ্বয়) জঙ্গিবাদ ও মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে কথা বলেছেন এবং আরো বলেছেন, ইসলামে ওইসব লোকদের কোন স্থান নেই। আমাদের ইমামদেরও এভাবে কথা বলা প্রয়োজন।’