বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত থেকে আরও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে আমদানি করা হবে। সেই সঙ্গে দুই দেশের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে।
রোববার দুপুরে সিলেটের একটি চারতারকা মানের হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই জ্বালানি প্রসারে গ্রিন ব্যাংকিং’-এর ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড), বাংলাদেশ সরকারের সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে ভারত থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। আগামীতে আরও ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে এবং তা দুই বছরের মধ্যেই হবে।
দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
সৌরবিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন কমছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য সৌরবিদ্যুতের চাহিদা কমে আসছে। সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ পাওয়ায় মানুষ এখন সৌরবিদ্যুৎ নিতে চাইছে না। তবে যেসব এলাকায় গ্রিড লাইন যাবে না সেসব এলাকায় সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসিয়ে ওই এলাকাগুলো আলোকিত করা হবে।
এর আগে কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ইতোমধ্যে এনার্জি রিসার্চ কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। সেখানে গবেষণা হচ্ছে কীভাবে সারাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া যায়। বিকল্প বিদ্যুৎ নিয়েও এই কাউন্সিল গবেষণা করছে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্রোডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন মাইকেল শুলথেই, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জিআইজেড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড এনার্জি এফিসিয়েন্সি (রিপ) কর্মসূচির সমন্বয়কারী আল মুদাব্বির বিন আনাম।