অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়া রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবারের নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে যাননি। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়।
সুরঞ্জিতের অনুপস্থিতি নিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের কানাঘুষা। কেউ কেউ বলছেন আজই পদত্যাগ করতে পারেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দুপুর ১২টায় রেল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনও ডেকেছেন তিনি।
আরেকটি সূত্র জানায়, সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যাতে উপস্থিত না থাকেন সে জন্য প্রধানমন্ত্রী আগেই ঘনিষ্ট কয়েকজনকে বলে দিয়েছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল দুপুরে তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার সময় বিমানবন্দরে উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে ওই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে রোববার রাতে গণভবনে তলব করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী আলোচনার সময় সুরঞ্জিতের প্রতি তার অসন্তুষ্টির কথা জানান এবং বলেন, তিনি নির্দোষ হলে তা তাকেই প্রমাণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিতকে বলেন, হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন, নয় পদত্যাগ করুন।
সূত্র জানায়, সুরঞ্জিত এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন তিনি দোষী নন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। এর উ্ত্তরে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য কিছু বলেননি।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সুরঞ্জিতকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
অপর একটি সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানেও সুরঞ্জিতের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, সেই আলোচনার ভিত্তিতেই তাকে গণভবনে ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর জিগাতলা মোড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের মূল ফটকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এপিএস ওমর ফারুককে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। ওই সময় তার সঙ্গে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এসময় ওমর ফারুকের সঙ্গে ছিলেন রেলের জিএম ইউসুফ মৃধা ও তার কম্যান্ড্যান্ট এনামুল।
পরে এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন সুরঞ্জিত।
ঘটনা প্রবাহে রোবরার এপিএস ফারুককে চাকরিচ্যুত ও রেলের জিএম ইউসুফ মৃধা ও কম্যান্ড্যান্ট এনামুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন সুরঞ্জিত।