আজ শনিবার থেকে ঢাকায় গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস ‘বন্ধ’ হওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। দিনের অর্ধেকটা যাওয়ার পর বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আজ নয় কাল থেকে বন্ধ হচ্ছে সিটিং সার্ভিস।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বিকেলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের মিটিং হবে এবং আগামীকাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে, আজ সকাল থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কেউ কেউ বলেন আজ থেকে এ সার্ভিস বন্ধ, আবার কেউ কেউ বলেন আজকের পর থেকে। এ নিয়ে যাত্রী, গাড়িচালক ও হেলপারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা গেছে। ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা।
গত ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। ওইদিন সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয় গণপরিবহনগুলোকে।
এর আগে, পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সভায় আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সভায় গাড়িতে লাগানো ট্রাকের বাম্পার কিংবা অ্যাঙ্গেলও খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া রঙচটা, রংবিহীন ও জরাজীর্ণ গাড়িগুলো দৃষ্টিনন্দন ও মেরামত করে রাস্তায় চালাতে হবে।’
সিটিং সার্ভিস বন্ধ ঘোষণার পরদিন ৫ এপ্রিল (বুধবার) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেশি ভাড়া নেয়া, লাইসেন্সবিহীন চালক ও মিটারবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে বিআরটিএ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটিং সার্ভিসের বিষয়টি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এতে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই খুশি। বাস মালিকদের সরকারের নির্ধারণ করা ভাড়াই নিতে হবে। আর কেউ যদি তা অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলে ভাড়া কমবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভাড়া যেটা আছে সেটাই নেবে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া যেন না নিতে পারে সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
অপরদিকে, ঢাকা মহানগরীতে সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় ও অভিনন্দনযোগ্য।