জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আল্পনা একটি প্রত্যয়। এর মাধ্যমে পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুন উদ্যোগে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, নববর্ষ আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির প্রাণের উৎস। এর মাধ্যমে আমরা সকলে একত্রে মিলিত হই এবং নব অভিযাত্রার সফত গ্রহণ করি। এটাই আমাদের সংস্কৃতি এবং এটাই আমাদের ঐতিহ্য।
বৃহস্পতিবার রাতে এশিয়াটিক ইএক্সপি আয়োজিত আল্পনায় বাংলাদেশ ১৪২৪ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি মানিকমিয়া এভিনিউ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আল্পনা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সকলে একসাথে সামনে পথচলার দীপ্ত প্রত্যয়ে নববর্ষে তুলির আঁচড়ে রংয়ে রংয়ে রঙিন করে তুলবো আমরা সমগ্র বাংলাদেশ এবং আমাদের সকলের জীবন ভরে উঠবে রঙে রঙে। বাংলাদেশের সকলের কাছে সফলভাবে পথচলার এ বারতা পৌঁছাতে হবে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সামনে এগিয়ে যাওয়াকে কেহ পিছিয়ে দিতে পারবে না।
তিনি বাঙালী সংস্কৃতিকে ধারন ও লালন করার মাধ্যমে দেশবাসীকে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নববর্ষে বাঙালী সংস্কৃতির প্রাণের স্ফুরন দেখতে পাই আলপনায়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সামনে মানিকমিয়া এভিনিউ এ শিল্পীদের আঁকা আল্পনার মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার যে অভিযাত্রা বিগত চার বছর আগে শুরু হয়েছিল – বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ শুরুর মাধ্যমে তা পঞ্চমবর্ষে পদার্পণ করলো। ৩০০ জন শিল্পীর আঁকা দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ আল্পনা এখন বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অংশ। গভীর রাতে হাজার মানুষের কলকাকলিতে ভরে উঠে এ প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এটি সাংস্কৃতিক চেতনায় সমৃদ্ধ একটি অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি একটি সংস্কৃতিক লড়াইয়ের হাতিয়ার এবং এর সাথে সংগ্রাম জড়িত। যারা সাম্প্রদায়িকতার বীষবাষ্প ছড়াতে চায় – এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা তা প্রতিহত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বার্জার পেইন্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালি চৌধুরী, সারা জাকের, বাংলা লিংক এর তাইমুর রহমান এবং শিল্পী মনিরুজ্জামান বক্তৃতা করেন। দেশবরেণ্য শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।