প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ব্যাপারে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নববর্ষ উৎসবকে দেশের ঐতিহ্য হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাংলা নববর্ষ পালন ও ধর্মের মধ্যে কোন যোগসূত্র নেই। এই উৎসব হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তিনি বুধবার তাঁর কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা পরিষদের নবনির্মিত চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়ার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মোগল শাসনামল থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে এবং একই সময়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাও শুরু হয়। ‘মঙ্গল’ শব্দটি হিন্দু ধর্ম থেকে উদ্ভূত নয়। এ ছাড়া হালখাতাও মোগল আমল থেকেই পালিত হয়ে আসছে। এ জন্য এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখ একটি সর্বজনীন উৎসব। সকল ধর্মের মানুষ এই উৎসবে যোগ দেয়। এটাই একমাত্র উৎসব, যা সব ধর্মের মানুষ একত্রে পালন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, চীন ও ইরানেও নববর্ষ পালিত হয়। এটিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের জাতীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে পয়লা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমি পয়লা বৈশাখে ইলিশ না ধরতে ও না খেতে আহবান জানাই। বরং এর পরিবর্তে খিচুড়ি, পান্তা ভাত, সবজি, ডিম ভাজি ও পোড়া শুকনো মরিচ খাওয়া যায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরসিংদী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথবাক্য পাঠ করান।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) বিভাগের সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এ সময় এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল মতিন ভূঁইয়া গত ১৬ মার্চ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পয়লা ফেব্রুয়ারি সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের ইন্তেকালে পদটি শূন্য হয়।