দুই হাঁটুতে সাতটি বড় অস্ত্রোপচার। ছোট খাটো ইনজুরি তার নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। তার উপর বয়সও ৩৩ ছুঁই ছুঁই। এরপরও খেলে যাচ্ছেন অনায়াসে। বুধবার বিকেএসপিতে আবার যেন তরুণ বয়সে ফিরে গেলেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে এক টানা আট ওভার বোলিং করে বুঝিয়ে দিলেন ফিটনেসে কোন ঘাটতি নেই লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের এ পেসারের।
আজ ম্যাচের ১৩তম ওভারে বোলিং করতে আসেন মাশরাফি। প্রথম ওভারটায় কিছুটা ছন্দহীন ছিলেন তিনি। আট রান দেওয়া এ ওভারে দারুণ ছক্কা হাঁকান নুর আলম সাদ্দাম। এরপরই স্বরূপে ফিরে আসেন মাশরাফি। পরের ১ রান দিলেও প্রথম বলেই রান আউট হয়ে ফিরে যান জুনায়েদ সিদ্দিকি। পরের ওভারেই সাদ্দামকে ফেরান ম্যাশ। শেষ পর্যন্ত দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে তুলে নেন মূল্যবান দুটি উইকেট। ব্রাদার্সের অভিজ্ঞ সেনানী অলক কাপালীকেও ফেরান মাশরাফি।
মাশরাফির যখন বোলিং করছিলেন তখন গ্যালারিতে বসে তার খেলা উপভোগ করছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। হয়তো টানা আট ওভার করে তাদের জানিয়ে দিলেন এখনও ফুঁড়িয়ে যাননি এ তারকা। যদিও এরপর আর বোলিংয়ে আসেননি মাশরাফি। ব্রাদার্সকে কোণঠাসা করে ২০৬ রানে আটকে রাখতে সমর্থ হয়েছে তার দল।
অবসর না নিলেও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন মাশরাফি। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর এ সংস্করণটি খেলেছেন সেই ২০০৯ সালে। আর কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় ছেড়েছেন ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। আর এ দুটিই তাকে ছাড়তে এক প্রকার অনিচ্ছাসত্ত্বেই।