জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদ থেকে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন স্টুয়ার্ট ল। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দেন।
সোমবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ৩০ জুনের পর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন স্টুয়ার্ট ল। জালাল ইউনুস বলেন,‘বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপে সফল হওয়ার পরও তিনি চলে যাচ্ছেন আমাদের জন্য এটা দুঃখজনক। আমি এবং বিসিবি সভাপতি তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। আসলে আট বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে আছেন ল। এখন অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাবেন। সে জন্য তিনি চাকরিটা ছেড়ে দিচ্ছেন। জালাল ইউনুস জানান, ৩০ মার্চ পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ল।
স্টুয়ার্ট ল’ও বললেন,‘পরিবারকে আরও বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন। তাদের জন্যই এখন আমি এখনে থাকতে পারবো না। কারণ আমার কাছে পরিবার আগে।’
২০১১ সালের জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার কোচিংয়ে চারটি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিলো দলের ব্যর্থতা দিয়ে। আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই ব্যর্থ হন। একমাত্র টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজও হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে।
২০১১ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ২-১ এ। তাদের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজও হেরেছে ১-০ তে। প্রথম টেস্ট চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ড্র হয়।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাঠে পাকিস্তানের কাছে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজয় দিয়ে অভিযান শুরু। এরপর ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ তে হেরেছে। পাকিস্তানের কাছে দুই টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ।
সবচেয়ে সফল হোম সিরিজ এশিয়া কাপ। চার জাতির এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ দল। ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারিয়ে ফাইনালে উন্নীত হয় বাংলাদেশ দল।
অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার একটি টেস্ট ও ৫৪টি ওয়ানডে খেলেছেন। একটি টেস্ট খেলে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন এক ইনিংসে। তাতে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫৪ ওয়ানডেতে তার রান ১২৩৭। সর্বোচ্চ ১১০ রান। ওই একটাই শতক। অর্ধশতক আছে ৭টি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার রেকর্ডটা খুবই সমৃদ্ধ। ৩৬৭টি ম্যাচ খেলে ২৭০৮০ রান করেছেন। তাতে শতক আছে ৭৯ আর অর্ধশতক ১২৮টি।