ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে খালেদাকে ইনুর চ্যালেঞ্জ

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে খালেদাকে ইনুর চ্যালেঞ্জ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘১৯৭২ সালের পর ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তিটি দেশবিরোধী হয়েছে সেটি বিএনপি এবং খালেদা জিয়া জানাবেন। যদি তিনি না দেখাতে পারেন, তাহলে তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান ভারত সফর ও ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে খালেদা জিয়া চিরাচরিত ঢালাও বক্তব্য দিয়েছেন।’

ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে না জেনেই বিএনপি চেয়ারপারসন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত নন, এমনকি চুক্তির শিরোনামগুলোও পড়ে দেখেননি।’

দ্বি-পক্ষীয় সফরে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। সফরকালে গত শনিবার দেশটির সঙ্গে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এর মধ্যে তিনটি সমঝোতা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ে। এছাড়া ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ৫০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তিও হয়েছে।এসব চুক্তি ও সমঝোতার পর থেকেই সমালোচনা করে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছে বিএনপি।

চু্ক্তি সইয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের যা কিছু বাকি ছিল তার সবই বিক্রি করে দিয়েছে সরকার।’
বিএনপির সমালোচনার মূলে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা এবং ঋণচুক্তি। দলের নেতারা বলছেন, এ সমঝোতার ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষায় এখন ভারতের হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া ভারত থেকে অস্ত্র কেনার ঘোর বিরোধী বিএনপি। তাদের অভিযোগ, ভারতের অস্ত্র মানসম্মত নয়।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে কোনো হুমকিতেই ফেলবে না। বিপদেও ফেলবে না। বরং এর মাধ্যমে আমাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নততর প্রশিক্ষণের সুযোগের সৃষ্টি হবে।’

রাজনীতি