মিসরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মোদি

মিসরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মোদি

মিসরের গির্জায় হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কপটিক খ্রিস্টানদের দুটি গির্জায় পৃথক দুটি বিস্ফোরণে ৪৪ জন নিহত এবং আরো শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

হামলার পর এক টুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, মিসরের হামলায় গভীরভাবে আহত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। নিহতিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের জন্য প্রার্থনা তারা যেনো দ্রুত সেরে ওঠেন।

হামলার পর তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এ ঘোষণা কার্যকর হওয়ার আগে তা সংসদের সমর্থন পেতে হবে।

এরপর জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়ে গেলে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই যে কাউকে আটক ও বাড়িঘর তল্লাশি করতে পারবে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

মিসরের কপটিকরা সাম্প্রতিক সময়ে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। তাদের ওপর আরো হামলার হুমকি দিয়েছে আইএস।

বিস্ফোরণের পর মিশরের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইটা দীর্ঘ সময়ের ও কষ্টকর হবে। আইন ও সংবিধান মেনেই জরুরি পরিস্থিতি জারি হবে। পার্লামেন্টের বেশিরভাগ সদস্য প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেন।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পাম সানডে উৎসবের মধ্যেই রোববার ভয়াবহ ওই হামলা চালায় আইএস।

আইএসের দাবি, দুটিই হামলাই আত্মঘাতী ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টানটা শহরের সেন্ট জর্জ কপটিক গির্জায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।
ঘণ্টাখানেক পরেই সেন্ট মার্কস কপটিক গির্জায় প্রবেশকালে পুলিশ বোমা বহনকারী একজনকে থামায়। এসময় আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।

জিহাদিদের এক বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রুসেডর ও তাদের বিপথগামি মিত্রদের জানা উচিত, আমাদের সঙ্গে তাদের বড়ো চুক্তির কথা। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তাদের সন্তানদের রক্তস্রোত বয়ে যাবে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কায়রো শহরে কপটিক গির্জায় বোমা হামলায় ২৫জন নিহত হয়েছিলো। আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো।

একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে তিনজন খ্রিস্টান কিশোরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো দেশটির আদালত। তারা নামাজের ব্যঙ্গ করে একটি ভিডিওচিত্র বানিয়েছিলো।
২০১৩ সালের এপ্রিলে কায়রোর সেন্ট মার্কসে দুজন নিহত হয়েছিলো। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে সংঘর্ষে চারজন নিহতের শোক শেষ না হতেই ওই ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক