স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পেলেই হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে তিনজনের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু করেছে কাশিমপুর ও সিলেট কারাগার।
রোববার দুপুরে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আমরা জানতে পেরেছি রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। তবে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোন আদেশ পাইনি।’
ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পেলে জেল কোড অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
কাশিমপুর কারা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। আজ জল্লাদদের তালিকা তৈরি করে তাদের ফাঁসির মহড়া দেবার কথা রয়েছে।
মুফতি আব্দুল হান্নান ছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন রিপন ও শরিফ শাহেদুল। এদের মধ্যে মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুলকে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে রাখা হয়েছে। রিপন আছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অপর দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উচ্চ আদালতের আপিল শুনানি ও রিভিউ খারিজের পর তাদের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা ছিল না। মার্চের শেষ সপ্তাহে দুই ধাপে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন। তবে শনিবার রাতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।