প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানসিক রোগে আক্রান্তদের যথাযথ সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে সমাজের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলে তারা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘আসুন, বিষণœতা নিয়ে কথা বলি’।
শেখ হাসিনা বলেন, মানসিক রোগীকে অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সার্বিক স্বাস্থ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক রোগের মধ্যে বিষণœতাজনিত সমস্যা অন্যতম। মানসিক রোগের প্রতিকার, প্রতিরোধে এবং সেবার মান উন্নয়নে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের সরকার নানামুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমরা ২০০১ সালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করি। এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের পদক্ষেপের ফলে দেশের মানসিক রোগের চিকিৎসাসহ সার্বিক চিকিৎসাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন, যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নতুন নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৭ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।