শিবচরের পদ্মাপাড়েই হবে অলিম্পিক ভিলেজ

শিবচরের পদ্মাপাড়েই হবে অলিম্পিক ভিলেজ

অলিম্পিক ভিলেজ হবে পদ্মাপাড়ে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা অনেক আগের। তবে কোন পাড়ে হবে দেশের বৃহত্তম এ ক্রীড়া অবকাঠামো তা নির্ধারণ করতেই কেটে গেছে বেশ সময়। স্থান নির্ধারণ করতে বেশি সময় নেয়ার কারণ পদ্মা ব্রীজ। এ ব্রীজ নির্মাণের পর পদ্মার গতিপথ কেমন হতে পারে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সে মতামত নিয়েই নির্ধারণ করা হয়েছে অলিম্পিক ভিলেজের জায়গা।

গত বছর ১২ নভেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা শিবচরের পদ্মার পাড়ে যে জায়গা পরিদর্শন করেছিলেন সেখানেই নির্মাণ করা হবে এ ভিলেজ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘শিবচরের পদ্মাপাড়ে ১২০০ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরো জায়গাটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানায় আসলেই শুরু হবে অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণের প্রক্রিয়া।’

প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রশাসনিক আদেশ। এর আগে অন্য একটি জায়গার ওপর ভিত্তি করে প্রশাসনিক আদেশ হয়েছিল। ওই আদেশ বাতিল করে শিবচরে নির্ধারিত নতুন জায়গার জন্য প্রশাসনিক আদেশের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন(বিওএ)। এনএসসি ওই প্রস্তাব ইতোমধ্যে উপস্থাপন করেছে পরিষদের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদারের কাছে। চেয়ারম্যান সেটা অনুমোদন দিলেই পাঠানো হবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বলেছেন, ‘অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণ সরকারের বিশাল প্রকল্প। এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা কোনো তাড়াহুড়া করিনি। মুান্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর ও নরসিংদীতেও আমরা জায়গা দেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মার পাড়ে যে জায়গাটা দেখে এসেছিলাম সেটাই নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই পাড়েই নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। যে কারণে নদী শাসনের বিষয়টা বিবেচনা করেই ওই ১২০০ একর জায়গায়ই বেছে নেয়া হয়েছে।’

জায়গা তো নির্ধারণ হলো। পরের প্রক্রিয়া কি? ‘প্রথমত এই জায়গাটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানায় আসা। পুরো জায়গা যদি খাস হয় তাহলে সেটা বন্দোবস্ত করতে হবে। যদি সেখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো জায়গা থাকে তা অধিগ্রহণ করতে হবে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন এসব প্রক্রিয়া শেষ করে নথিপত্র পাঠাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ে। ওই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হলে তা সংশ্লিষ্ট সব দফতর হয়ে আসবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। মালিকানা পাওয়ার পর অলিম্পিক ভিলেজ তৈরির জন্য মাস্টার প্লান করা হবে’-বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব।

খেলাধূলা