মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া অন্তর্বর্তী জামিন আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ
আজ এ আদেশ দেয়। এছাড়াও পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টির ওপর ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়ে গত ৪ এপ্রিল আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ আদালতে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট জয়নুল আবেদিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। মামলার দুই আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পায়। দন্ডিতদের মধ্যে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর এবং ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। ব্যারিস্টার ফখরুলকে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস এবং অন্য চারজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস করে কারাদন্ড ও দেয়া হয়।
পরবর্তীতে এ মামলা হাইকোর্টে আসার পর সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাজা প্রশ্নে রুল জারি এবং তাদেরকে আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে যান। রায় ঘোষণার পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।